বটুকেশ্বর দত্ত ---- সুমন চন্দ্র দাস

 



জন্ম ১৮ই নভেম্বর ১৯০৮ এবং মৃত্যু ২০ জুলাই ১৯৬৫। 

    ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম প্রধান উনবিংশ শতকের ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী। বঙ্গের বিপ্লবী সমাজের মধ্যে অত্যন্ত সক্রিয় বিপ্লবী ছিলেন বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্ত। ১৯২৯ সালের ৮ই এপ্রিল বীপ্লবী ভগৎ সিং এর সঙ্গে এক যোগে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বোমা বিস্ফোরণ ঘটান। শুধু তাই নয় ব্রিটিশ সরকারের অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিশেষ পত্রক বিলি করে বোমা বিস্ফোরণ ঘটান যাতে ব্রিটিশ সরকারের কর্ণকুহরে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতিধ্বনি কম্পিত হয়। বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্তের জন্ম বর্ধমান জেলার ওয়াড়িতে। পিতা গোষ্ঠবিহারী দত্ত। কানপুরে কলেজে পড়ার সময় বিপ্লবী চন্দ্রশেখর আদাজ, ভগত সিং এর সঙ্গে সংস্পর্শে আসেন। দিল্লিতে বিস্ফোরণের পর ব্রিটিশ সরকার তাঁকে জেলে বন্দী করে। ব্রিটিশ সরকারের দ্বারা জেলে বন্দী বিপ্লবীদের প্রতি অভব্য আচরণের বিরুদ্ধে জেলেই বিশেষ জনমত গঠন করেন এবং ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন। প্রয়োজনে জেলের মধ্যে অনশন শুরু করেন। ১৯৩৮ সালে জেল থেকে মুক্তি পেলেও বাঙ্গালা, বিহার, উত্তর প্রদেশ, ওড়িশ্যাতে প্রবেশাধিকার ছিল না তাঁর। আবার ১৯৪২ সালে তাঁকে তিন বছরের জন্য ব্রিটিশ সরকার কারাবাস দেয়। হিন্দুস্থান সমাজ প্রজাতান্ত্রিক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে সামজিক আন্দোলন শুরু করেন। শেষ জীবনে উনি টিবি রোগে আক্রন্ত হন। জেলে থেকে মুক্তি পেলেও পরবর্তী কালে তাঁর প্রতি সঠিক মূল্যায়ন হননি বলে অনেকে মনে কররেন। তিনি শেষসময় পর্যন্ত অত্যন্ত দারিদ্রতার সঙ্গে জীবন যাপন করেন। স্বাধীনতার পর বিবাহ করে পাটনায় জীবন যাপন করেন। তেমন ভাবে সরকারি সাহয্য পাননি বললেই চলে। জীবিকা নির্বাহ করতে পরিবহন চালাতেন। ২০ শে জুলাই ১৯৬৫ সালে দিল্লীর একটি হাসপাতালে লোক চক্ষুর অন্তরালে মৃত্যু বরণ করেন। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে এই বিপ্লবীদের বিশেষ স্মৃতি স্মারক করে বিপ্লবীর কর্ম জীবনকে  আগামী প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করা একান্ত আবশ্যক।

Comments

Popular posts from this blog

মুর্শিদাবাদ কি মুঘলস্থানের পথে? ওয়াকফের নামে কীভবে হিন্দু নির্যাতন হয়েছে? ---- ডক্টর সুমন চন্দ্র দাস

"বন্দেমাতরম" প্রকাশের ১৫০ তম বর্ষে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি : ---- বিমল দাস

রাজা তোর কাপড় কোথায়? --- সুমন চন্দ্র দাস