দুষ্কৃতীদের প্রশ্রয় দেন মাননীয়া ---- ধর্মাবতার


কাজল শেখ কি আইসিকে নিরাপত্তা দিতে পারবেন? অনুব্রত তো মমতার সম্পত্তি! কাদের সংরক্ষণ দেন মমতা? জঙ্গি, খুনি, ভোট লুটেরাদের!  মুখ্যমন্ত্রীর কোলের লোক যেমন, তেমনি ঠিক একই ভাবে রাজ্যের এসআরডিএর চেয়ারম্যান, মন্ত্রীর পদ মর্যাদায় নিরাপত্তাও পেয়ে থাকেন। তিনি তো সব কিছুরই উর্ধে! তাই না? তবে এই কেষ্টই স্বয়ং কয়লা পাচার, গরু পাচার এবং নিয়োগ দুর্নীতিতেও অভিযুক্ত। দীর্ঘ সময় তিহাড়ে জেল খেঁটে এসেছেন। তিনি কুখ্যাত এক অডিও কলে পুলিশকে ৪ থেকে ৫ বার স্ত্রী-মাকে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছেন! পুলিশের পাঁচবার নোটিশের পর থানায় পেছনের দরজা দিয়ে হাজির দিয়েছেন, তবুই চোখে মুখে নেই ভয় ভীতির লেশ! সন্দেশখালির শাহজানের মতোই যেন হাজিরা ছিল কেষ্টর! 

পাল্টা বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারের দুটি ফোনই বাজেয়াপ্ত হয়েছে। আর্থিক দুর্নীতিতে ইতিমধ্যে পুলিশ বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে ওই পুলিশের বিরুদ্ধে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং ১৪ বছর ধরে পুলিশমন্ত্রী, দোষীদের ধরা তো দূরের কথা কার্যত অপরাধী গুন্ডাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে থাকেন।”

অনুব্রত মণ্ডল ফোনে স্বয়ং পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে হুমকি দিয়েছেন যে বার বার বলা সত্ত্বেও কেন বদলি করা হয়নি? আবার রাজ্যের পুলিশ হরিয়ানা থেকে আইনের পড়ুয়া ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে গ্রেফতার করতে পারে অথচ রাজ্য পুলিশের আইসির মা-স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া অনুব্রতকে গ্রেফতার করতে পারে না। কিন্তু কেন এই অসাম্য? আসলে রাজনৈতিক নেতারা কি তাহলে আইনের বাইরে? অবশ্য এই রাজ্যের জন্য এটাই হয়তো সত্য!

কলকাতায় বসে খোদ হিন্দু দেবদেবী এবং কাম্যাখ্যা সম্পর্কে কুকথা বলা মুসলিম যুবক ওয়াজাহাতকে কেন গ্রেফতার করতে দেখা যায়নি কলকাতা পুলিশকে? তিনি অবশ্য ভোট ব্যাঙ্কের হিসেবে, তাই নিষ্ক্রিয় পুলিশ। এই ঘটনাগুলি সত্যই পুলিশ কতটা রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত, তাও স্পষ্ট হয়। চলতি বছরের আরজি কর ধর্ষণকাণ্ড থেকে মুর্শিদাবাদ হিংসায় পর্যন্ত একাধিক ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ভূমিকা ছিল প্রশ্নের মুখে। 

১৯৪৬ সালে মুসলিমলীগে সৈয়দ সোরাবর্দী যা যা করেছেন বর্তমানে মমতাও তাই তাই করছেন। সেই সময় জেহাদিরা হিন্দুদের কাফের বলেছে। বর্তমান সময়েও একই অবস্থান। এতোদিন আমরা শুনেছি এখন আমরা চোখে দেখছি। মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ান, সুতি, ফারক্কা এবং মালদার মোথাবাড়ি, রতুয়ায় হিন্দুদের উপর নির্বিচারে অত্যাচার চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশের ভূমিকা ছিল সন্দেহজনক! সিপিএম করতেন কিন্তু একমাত্র হিন্দু হওয়ার জন্য চন্দন দাস-হরগোবিন্দ দাসকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আরও এক হিন্দু হয়ে তৃণমূল করতেন, নিজের দোকান ঘরে দলীয় কার্যালয় করেছিলেন, কিন্তু কিছুই রক্ষা করা যায়নি। উগ্র মুসলমানরা আগুনে বাড়ি-ঘর, দোকান পুড়িয়ে সব ভস্ম করে দিয়েছে। ফলে যা ছিল ডাইরেক্ট অ্যাকশেন, এখন তা ডাইরেক্ট পিকচার!

Comments

Popular posts from this blog

মুর্শিদাবাদ কি মুঘলস্থানের পথে? ওয়াকফের নামে কীভবে হিন্দু নির্যাতন হয়েছে? ---- ডক্টর সুমন চন্দ্র দাস

"বন্দেমাতরম" প্রকাশের ১৫০ তম বর্ষে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি : ---- বিমল দাস

রাজা তোর কাপড় কোথায়? --- সুমন চন্দ্র দাস